রিয়াং জনজাতিদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিয়ে সন্তুষ্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী*
*নিজস্ব প্রতিনিধি : ত্রিপুরা :প্রিয়াংকা বনিক : ২২ ডিসেম্বর৩৮ হাজার ব্রু-সম্প্রদায়ের রিয়াং জনজাতিদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দেওয়া একমাত্র বিজেপির দ্বারা সম্ভব হয়েছে এই বিষয়টি অমিত শাহের কাছে খুব সন্তুষ্টির বিষয়। ২০২০ সালে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী ধলাই জেলার হাদুক লাউ পাড়ায় ব্রু পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ধলাই জেলায় বিভিন্ন প্রকল্প উদ্বোধনে গিয়ে এই কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।রবিবার চুক্তির বাস্তবায়ন খতিয়ে দেখেন কেন্দ্রীয় গৃহ ও সমবায় মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর ধলাই জেলা সফরকালে সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা ,পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভার সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব , পূর্ব ত্রিপুরা লোকসভা আসনের সাংসদ কৃতি সিং সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা। রবিবার ধলাই জেলার কুলাইয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের হাত ধরে উদ্বোধন হয়েছে ৬ টি নতুন প্রকল্প। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন ২৫ বছর ধরে অনেক কষ্টে জীবনযাপন করছিলেন ব্রু-সম্প্রদায়ের জনজাতিরা। এক সেডের নিচে অনেকগুলো পরিবার একসাথে বাস করতে হতো। তাদের কোন শৌচালয়ের ব্যবস্থা, শিক্ষা ব্যবস্থা, এমনকি খাদ্য ও পানীয় জলের সঠিক ব্যবস্থাও ছিল না। কমিউনিস্ট পার্টির শাসন চলাকালীন জনজাতিদের প্রতি কোন নজর দেওয়া হয়নি। তাই তারা উন্নয়নের দিকেও পিছিয়ে ছিল। পরবর্তীতে যখন ত্রিপুরায় পরিবর্তন হলো এবং ভাজপা সরকার ক্ষমতায় এলো তখন কেন্দ্রীয় সরকারের সহায়তায় ত্রিপুরা রাজ্য সরকার ব্রু-শরণার্থী ৪০ হাজার জনজাতির থাকার ব্যবস্থা করা হলো। ভাজপা সরকার ব্রু-জনজাতির শিক্ষার ব্যবস্থা, রোজগারের ব্যবস্থা শুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা, মহিলাদের জন্য বিভিন্ন বিশেষ ব্যবস্থা কথা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা করে দিয়েছে।ব্রু- শরণার্থীরা ২৪ মাসের জন্য পাঁচ হাজার টাকা ভারত সরকার থেকে অনুদান পাবে। এছাড়াও বিভিন্ন স্কিমের আওতায় শিক্ষা ব্যবস্থা শুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা সহ আরো বিভিন্ন সুবিধা ব্রু-জনজাতিদের জন্য রয়েছে বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি এই বিষয়টির সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রকল্প আজ উদ্বোধন করেন বলেও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ।তিনি আরো বলেন বিজেপি সরকার ত্রিপুরায় ক্ষমতার আসার পর থেকে রাজ্যে বহু পরিবর্তনে এসেছে। বিভিন্ন এলাকায় বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা হয়েছে, প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে এছাড়াও রাজ্যের শিক্ষার উন্নয়নেও সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ফলে রাজ্যে রাজ্যে শিক্ষার হার বেড়েছে। এর থেকে বোঝা যায়, যারা লোকতন্ত্রে বিশ্বাস করে তারা যখন শাসনের দায়িত্ব পায় তখন এভাবেই দেশের উন্নয়ন হয়।
Post Comment