উন্নয়নের ৫০ বছর উদযাপন করছে উত্তর পূর্বাঞ্চল পর্ষদ*
*নিজস্ব প্রতিনিধি :ত্রিপুরা :প্রিয়াংকা বনিক : ২০ ডিসেম্বরপ্রধানমন্ত্রী মোদীর উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আটটি রাজ্যকে ‘অষ্টলক্ষ্মী’ হিসাবে চিহ্নিত করার মাধ্যমে এই রাজ্যগুলোর অপরিসীম সম্ভাবনা, সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধি এবং প্রাকৃতিক সম্পদের সম্ভাবনাকে প্রতিফলিত করে। এনইসি তার উপদেষ্টামূলক সংস্থার অবস্থান থেকে আঞ্চলিক পরিকল্পনা গ্রহণ ও উন্নয়নে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায পালনের অবস্থানে রূপান্তরিত হয়েছে।তথাপি, এর মূল লক্ষ্য অপরিবর্তিত রয়েছে। যেমন এই লক্ষ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে, এই অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করা। এদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যোগাযোগ ব্যবস্থার বৃদ্ধি, সক্ষমতা বৃদ্ধি, শিল্পকে উৎসাহিত করা, বাণিজ্য ও পর্যটনকে উৎসাহিত করা এবং উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতিক শক্তিকে কাজে লাগানো সাথে বিনিয়োগ আকর্ষণ করা। এনইসির ঐতিহাসিক সাফল্য নিয়ে প্রশংসা করতে হলে এবং ভবিষ্যতের সম্ভাবনা দেখতে হলে, এনইসির ক্রমবর্ধমান ভূমিকা বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।এন ই সি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭১ সালে (১৯৭১ সালের ৮৪ নং আইন) এবং এর উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী ১৯৭২ সালের ৭ই নভেম্বর । অরুণাচল প্রদেশ, অসম, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড এবং ত্রিপুরায় পরিকল্পিত উন্নয়নের গতিকে প্রসারিত করার লক্ষ্যে এনইসি-র প্রতিষ্ঠা ছিল এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এনইসি তৈরি হয়েছিল এই রাজ্যগুলির সম্মিলত অর্থনৈতিক প্রয়োজনীয়তার দিকগুলোকে পূরণ করার জন্য, এবং পরে উত্তর-পূর্বাঞ্চল পর্ষদ (সংশোধনী) আইন, ২০০২ এর অধীনে একটি আঞ্চলিক পরিকল্পনা সংস্থায় পরিণত হয়েছে। এই আইনেই মধ্য দিয়ে এনইসি তার কাজকর্মকে সিকিমেও প্রসারিত করেছে । এবং এই সংশোধিত আইন অনুসারে আঞ্চলিক পরিকল্পনায় আরও সরাসরি মনোনিবেশ করার জন্য এনইসি-র ভূমিকাকে নতুন ভাবেও সংজ্ঞায়িত করেছে । প্রতিষ্ঠার পর থেকে এনইসি এই অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। রাজ্য সরকার, এনজিও এবং কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির সঙ্গে তার সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার ফলে এই অঞ্চলের যথেষ্ট অগ্রগতি সাধন হয়েছে।শিলংয়ে অনুষ্ঠিত ৬৫তম এনইসি সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘অষ্ট লক্ষ্মী’ হিসেবে উত্তর-পূর্বের সম্ভাবনার উপর দৃঢ়ভাবে আলোকপাত করার পর, এনইসি’র ভূমিকা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। উত্তর-পূর্বের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার ব্যাপারে এনইসি-র প্রতিশ্রুতির আরও একটি প্রমাণ হলো সম্প্রতি চালু হওয়া প্রধানমন্ত্রীর উত্তর-পূর্ব উন্নয়ন প্রকল্প (পিএম-ডিভাইন)।এনইসি-র নানা সাফল্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলি হল:– ১১,৫০০ কিলোমিটারেরও বেশি সড়ক নির্মাণ;– ৬৯৪ মেগাওয়াটেরও অধিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার বিকাশ;– ২,৫৪০ কিলোমিটার পরিবহন এবং বিতরণ লাইনের সংস্থাপন;– গুয়াহাটি, ডিব্রুগড়, যোরহাট, ইম্ফল এবং ইউমরয়ের মতো প্রধান বিমানবন্দরগুলিতে পরিকাঠামো উন্নয়ন;– ১১টি আন্তঃরাজ্য বাস টার্মিনাস (ISBT) এবং ৪টি আন্তঃরাজ্য ট্রাক টার্মিনাস (ISTT) প্রকল্প সম্পাদন।বৃহদাকার প্রকল্পসমূহ :এনইসি-র -এর কিছু বৃহদাকার প্রকল্প স্থাপনার মধ্যে রয়েছে:– রিজিওন্যাল মেডিকেল সায়েন্স ইনস্টিটিউট (RIMS), ইম্ফল (১৯৭২)– ডঃ বি বরুয়া ক্যান্সার ইনস্টিটিউট (BBCI), গুয়াহাটি (১৯৭৪)– উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় বিদ্যুৎ শক্তি নিগম, নিপকো (NEEPCO), শিলং (১৯৭৬)– উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট (NERIST), ইটানগর (১৯৮৪)– উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার (NESAC), উমিয়াম (২০০০)– অ্যাডভান্সিং নর্থইস্ট (ANE) – যুবক-যুবতীদের ক্যারিয়ার এবং জীবিকার উপর কেন্দ্রীভূত এক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম (২০২২)।
Post Comment