ধুয়ে মুছে সাফ বিরোধীরা, উপ নির্বাচনের ফল কি বলছে?*
নিজস্ব প্রতিনিধি : কলকাতা : প্রিয়াংকা বনিক :২৪ নভেম্বর
সিতাই, মাদারিহাট, হাড়োয়া, নৈহাটি. তালডাংরা, মেদিনীপুর, সব জায়গাতেই উড়ে গেল বিরোধীরা। বামেদের কোনও ছাপই নেই। বহু ঢক্কানিনাদ করেও মাটিতে গোঁত্তা খেয়ে পড়ল বিজেপি। তবে দলগতভাবে তাদের একমাত্র সান্তনা হতে পারে মহারাষ্ট্র বিধানসভার ফল। জুলাই ও নভেম্বরে মোট ১০ বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে সব ক’টি আসনেই বাজিমাত করলেন মমতা।বাংলার উপনির্বাচনের ফলকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, তৃণমূলের জয়ের পেছনে রয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রভাব। উপনির্বাচনে ভোটই হয় না ।

নৈহাটি, মেদিনীপুর, তালডাংরা ও মাদারিহাট ২০২৬ এর নির্বাচনে আমরা জিতব । এই তৃণমূলকে সরাতে গেল আমাদের আরও বেশি করে রাস্তায় থাকতে হবে ।সন্দেশখালি ও আরজি কর কাণ্ডের সুফল ঘরে তুলতে পারল না বিরোধীরা। রাজ্যের ৫ আসনেই জামানত বাজেয়াপ্ত হল বাম ও কংগ্রেসের । সিতাই ও হাড়োয়ায় বিজেপি’র জামানত জব্দ হল ।দলের জয় তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, হাড়োয়াতে আইএসএফের তো একটা অন্য কেমিস্ট্রি। সেখানেও আইএসএফের প্রার্থী বিপুল ভোটে হেরে গিয়েছে। তাহলে অরিজিনাল লেফট ফ্রন্ট কোথায় গেল।উপ নির্বাচনে বৃহত্তর জোট গড়েও ৫ আসনে জামানত জব্দ হল বামেদের। হাড়োয়ায় একই দশা হল জোটসঙ্গী আইএসএফের। আরজিকর আন্দোলনের ছাপ উপনির্বাচনে পড়ে কিনা তার উপরে নজর ছিল সবার। ফলাফলে দেখা গেল কোনও প্রভাবই নেই।সিতাইয়ের মতো বিজেপির গড় হেরেছে বিজেপি। মাদারিহাটেও একই অবস্থা। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে উত্তরবঙ্গের বিজেপির ভোট ব্যাঙ্ক ধসের ইঙ্গিত দিচ্ছে উপনির্বাচনের ফল।
Post Comment