
নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রিয়াংকা বনিক :১ নভেম্বর
ধর্ষণের পর সাত বছরের শিশুকে খুনের অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল গ্রামের এক পাহারাদারকে। ২০২৩ সালে তিনি ওই শিশুকে ধর্ষণ করে খুন করেন বলে অভিযোগ। প্রথমে শিশুটিকে তিনি ডুবিয়ে মারার চেষ্টা করেছিলেন। তা ব্যর্থ হলে পাথর দিয়ে শিশুর মাথা থেঁতলে দেন তিনি। এই ঘটনায় পকসো আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন অভিযুক্ত।তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। সঙ্গে ১.২৫ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে বলা হয়েছে অভিযুক্তকে, যা ক্ষতিপূরণ হিসাবে নিহতের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর, বাড়ির সামনে খেলছিল শিশুকন্যাটি। সেই সময় গ্রামের পাহারাদার রাজবীর সিং তাকে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। শুধু তাই নয়, প্রমাণ লোপাট করতে নির্যাতিতাকে জলে ডুবিয়ে মারার চেষ্টা করে সাজাপ্রাপ্ত। অভিযোগ, তাতে ব্যর্থ হয়ে পাথরে মাথা থেঁতলে শিশুটিকে খুন করে রাজবীর। পরে দেহ পাশের মাঠে ফেলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।মেয়ে দীর্ঘক্ষণ বাড়ি না আসায় স্থানীয় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার। পরে মাঠ থেকে তার দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনায় আগ্রার এসিপি সুকন্যা শর্মার নেতৃত্বে বিশেষ দল গঠন করে তদন্ত শুরু হয়। গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্তকে। বিশেষ পকসো আদালতের বিচারক সনিকা চৌধুরীর এসলাজে মামলার শুনানি হয়। পুলিশ ডিএনএ, এলাকার সিসিটিভি-সহ একাধিক তথ্যপ্রমাণ আদালতে জমা দেয়। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া চুলের সঙ্গে অভিযুক্তের ডিএনএ মিলে যায়। ঘটনায় প্রায় ১২জন সাক্ষী দেন। সবদিক খতিয়ে দেখে অভিযুক্তের প্রাণদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক।