
নিজস্ব প্রতিনিধি : ত্রিপুরা : প্রিয়াংকা বনিক : ৬ অক্টোবর রাজ্যে চলছে হীরা ডায়মন্ড এর পর সুশাসন। আর এই সুশাসনের যোগে আমরা কেমন আছি। কেমন আছে সাধারণ লোকজন।বর্তমান রাম রাজত্বে সুশাসনে কতটুকু নিরাপত্তার মাঝে রয়েছে রাজ্যের সাংবাদিকরা। শিক্ষক শিক্ষিকাদের আমরা সমাজের মেরুদন্ড এবং মানুষ তৈরীর কারিগর হিসাবে মান্যতা দিয়ে থাকি।আবার ওই শিক্ষক শিক্ষিকাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল চিকিৎসকদের আমরা ভগবান হিসাবে মান্যতা দিয়ে থাকি। কিন্তু বর্তমান সুশাসনে কেমন যেন সব গুলিয়ে যাচ্ছে। ফলে গোটা রাজ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে আমরা আছি কোথায়? কেমন আছে রাজ্যবাসী। কেমন আছে গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ।যেখানে মদমত্ত অবস্থায় মহকুমা স্তরের সরকারী হাসপাতালের বহিরবিভাগে বসে দিব্যি ভুলভাল চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে চলেছেন। কিন্ত এই সুশাসনের যোগে ওই সমস্ত মধ্যপ চিকিৎসকদের দেখার মতো কেউ নেই। উপরন্তু সাংবাদিকদের দেখে নেওয়ার হুমকিও দিয়ে চলেছেন ওই মদ্যপ চিকিৎসক। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে ধলাই জেলার লংতরাইভ্যালী মহকুমায়।সংবাদে জানা গিয়েছে লংতরাইভ্যালী মহকুমা হাসপাতালের মদ্যপ চিকিৎসক হিসাবে পরিচিত দেববীর দাস। অভিযোগ ওই চিকিৎসক দিনরাতের সিংহভাগ সময় মদমত্ত অবস্থায় থাকেন। হাসপাতালে আসা রোগীদের মদের নেশায় ভুলভাল প্রেসক্রিপশন ধরিয়ে দিচ্ছেন। রোগীরা মহকুমার ঔষধের দোকান থেকে ঔষধ নিয়ে ওই মদ্যপ ডাক্তারকে দেখাতে নিলেই বেঁধে যাচ্ছে গোলমাল। এমনি একটি ঘটনা ঘটে বৃহস্পতিবার।

ওইদিন ওই মদ্যপ চিকিৎসক দেববীর দাস সাংবাদিক রাজীব সরকারকে একটি সংবাদ কভার করার জন্য লংতরাইভ্যালী মহকুমায় হাসপাতাল সাংবাদিকদের সামনে সাহা মেডিকেলের কর্মচারীকে হুমকি দিতে শুরু করেন। পাশাপাশি সাংবাদিককে ফটো তোলার জন্য একের পর এক নির্দেশ দিতে থাকেন। কিছক্ষন পর সাংবাদিক রাজীব সরকারের সঙ্গে নোংরা ব্যবহার শুরু করেন মদ্যপ চিকিৎসক দেববীর দাস। শুরু হয় তর্ক বিতর্ক। এক সময় অবস্থা বেগতিক দেখে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন মহামান্য ডাক্তার বাংলা মদ পিপাসু দেববীর বাবু। এখানেই শেষ নয় রাতে আকণ্ঠ মদ পান করে সাংবাদিক রাজীব সরকারকে হুমকি দিয়ে বলেন তার বিরুদ্ধে কোন সংবাদ প্রকাশিত হলে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে রাজীব সরকারকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে। বেশ কয়েক মাস যাবৎ ওই মদ্যপ চিকিৎসক এতো কান্ড ঘটালেও নীরব ভূমিকা পালন করে চলেছেন ধলাইর সিএম ও। এর পেছনে কারণ কি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে সর্বত্র। এখন দেখার কি ব্যবস্থা নেয় স্বাস্থ্য দপ্তর।