×

আমেরিকাতে মোদির ম্যাজিক*

আমেরিকাতে মোদির ম্যাজিক*

নিজস্ব প্রতিনিধি : ইন্ডিয়া : প্রিয়াংকা বনিক : ২৬ সেপ্টেম্বর

মোদীর আমেরিকা সফর চলছে বর্তমানে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে বৈঠকের পর চিন নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা। সংযুক্ত এবং স্বয়ংক্রিয় ডিভাইসগুলিতে চিনা এবং রাশিয়ান সফ্টওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আমেরিকা বলছে, জাতীয় নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।আমেরিকা বলেছে যে ভালো ব্যাপার হল আমেরিকায় চিনা স্মার্টফোন ও ইলেকট্রিক গাড়ির সংখ্যা সীমিত।

বাকি বিশ্বের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করে, আমেরিকা বলেছে যে ইলেকট্রিক গাড়ি এবং স্মার্টফোনের মতো চিনা বৈদ্যুতিক পণ্যগুলি ইউরোপ সহ সারা বিশ্বে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এ বিষয়ে সতর্ক থাকা দরকার। আমরা যদি ভারতের কথা বলি, তবে বেশিরভাগ চিনা স্মার্টফোন ব্র্যান্ড ভারতের শীর্ষ ৫ বিক্রিত স্মার্টফোন ব্র্যান্ডের অন্তর্ভুক্ত। তবে বৈদ্যুতিক গাড়ির সেগমেন্টে চিনের প্রবেশ অনেকাংশে বন্ধ হয়ে গেছে। BYD-এর মতো ইলেকট্রিক গাড়ি কোম্পানি ভারতে খুব একটা সাফল্য পায়নি।উল্লেখ্য আমেরিকাতে চিনা এবং রাশিয়ান সফ্টওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছে। বাণিজ্য বিভাগ বলেছে যে সফ্টওয়্যারের উপর নিষেধাজ্ঞা ২০২৭ থেকে কার্যকর হবে এবং ২০৩০ সাল থেকে হার্ডওয়্যারের উপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। আমেরিকা বলছে সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার নিষিদ্ধ করা একটি জটিল প্রক্রিয়া। ইউএস সিকিউরিটি এজেন্সির মতে, বর্তমানে স্মার্টফোন ও গাড়িতে মাইক্রোফোন, ক্যামেরা, জিপিএস ট্র্যাকিং এবং ব্লুটুথ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও, স্মার্টফোন এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইসে এআই এবং ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এসব ডিভাইস বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। আমেরিকার আশঙ্কা, এই প্রযুক্তির সাহায্যে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হতে পারে। অর্থনৈতিক ও আর্থিক ক্ষতিও হতে পারে।এছাড়া ও চুরি যাওয়া ৫৭৮টি প্রাচীন সামগ্রী ২০১৪ সাল থেকে ভারতে ফিরিয়েছে আমেরিকা। ২০২১ সালে মোদী যখন আমেরিকা সফরে গিয়েছিলেন, তখন ফেরানো হয়েছিল ১৫৭টি প্রাচীন সামগ্রী। তার মধ্যে ছিল দ্বাদশ শতাব্দীর একটি নটরাজ মূর্তি। ব্রোঞ্জের সেই মূর্তি ঐতিহাসিক দিক থেকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। ২০২৩ সালে মোদী যখন আমেরিকা সফরে গিয়েছিলেন, তখন পাচার হওয়া আরও ১০৫টি সামগ্রী ফিরিয়েছিল বাইডেন প্রশাসন। বিভিন্ন সময়ে দেশ থেকে বিভিন্ন পুরাতাত্ত্বিক, প্রাচীন মূল্যবান সামগ্রী পাচার হয়েছে বিদেশে। মোদী সরকারের লক্ষ্য, সে সব জিনিস দেশে ফিরিয়ে আনা। ২০১৪ সাল থেকে সেই কাজ করা হচ্ছে। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে দিল্লিতে ৪৬তম বিশ্ব হেরিটেজ বৈঠকে একটি চুক্তি সই করে ভারত এবং আমেরিকা। ভবিষ্যতে ভারত থেকে ঐতিহাসিক, প্রাচীন সামগ্রী আর যাতে আমেরিকায় পাচার হয়ে না যায়, সে কারণেই এই চুক্তি সই করে দুই দেশ। চুক্তিতে দুই দেশ পরস্পরের হেরিটেজ রক্ষার অঙ্গীকার করেছিল। আমেরিকার পাশাপাশি ব্রিটেন থেকে ১৬টি এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে ৪০টি পাচার হয়ে যাওয়া জিনিস ফিরিয়ে আনা হয়েছে ভারতে।

Previous post

বিরাট প্ল্যানিং ইজরায়েলের! তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরিস্থিতি। হিজবুল্লাকে নিকেশ করতে ব্লু প্রিন্ট তৈরি*

Next post

নাবালিকা মেয়ের অপহরণ, ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযুক্তের ফাসির দাবি জানালেন সন্তান হারা অসহায় বাবা-মা।*

Post Comment