
আদালতের রায় ও পুলিশের সহযোগিতায় পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে ফিরলেন পুরাতন নেতৃত্ব | নতুন যাত্রার বার্তা দিলেন সভাপতি ও সম্পাদক[নিজস্ব প্রতিবেদক]সাত বছর ধরে চলা এক জটিল ও বহু নাটকীয় ঘটনার আইনি লড়াইয়ের অবসান ঘটল আজ। দেশের অন্যতম ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান সর্ব ধর্ম মিশন আবার ফিরে পেল তার পূর্বতন নেতৃত্ব। আজ আদালতের রায়ের আলোকে এবং স্থানীয় প্রশাসনের সরাসরি সহায়তায়, পুরাতন কমিটির সদস্যরা মন্দিরে প্রবেশ করেন এবং দায়িত্ব গ্রহণ করেন।আবেগঘন মুহূর্তে মন্দিরে প্রবেশমিশনের প্রধান মন্দির চত্বরে প্রবেশের সময় অনেকেই চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি। সাত বছর আগে যাঁদের থেকে দায়িত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছিল, সেই পুরাতন কমিটির সদস্যরা আজ আবার ফিরে এলেন নিজেদের প্রিয় মিশনের দায়িত্বে। উপস্থিত ছিলেন সম্পাদক সত্যজিৎ রায়, সভাপতি রঞ্জিৎ কুমার দাস, ও আরও বহু পুরনো সদস্য, যাঁরা দীর্ঘ সময় ধরে এই আইনি লড়াই চালিয়ে গেছেন।সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বিবৃতিতে সম্পাদক সত্যজিৎ রায় বলেন,”এটি আমাদের কাছে শুধু একটি আইনি জয় নয়, এটি আমাদের আত্মার জয়। আমরা কখনও বিশ্বাস হারাইনি যে ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হবে। আজ সেটি হয়েছে।”একত্রে কাজের আহ্বানপ্রাক্তন কমিটির উদ্দেশ্যে পুরাতন নেতৃত্বের পক্ষ থেকে এক মানবিক আহ্বান জানানো হয়। সভাপতি রঞ্জিৎ কুমার দাস বলেন,”আমরা চাই সকলে মিলে মিশে কাজ করি। বিদায়ী কমিটিকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি, তারাও যেন এই মিশনের মূল উদ্দেশ্য—ধর্ম, সেবা ও মানবতার পথে—সহযোগিতা করে। কোনো দলীয় বিভেদ নয়, আমরা চাই ঐক্য ও সহযোগিতা।”দুর্নীতির অভিযোগ উঠলো বিদায়ী কমিটির বিরুদ্ধেযদিও আবেগঘন ও ঐক্যবদ্ধ বার্তার পাশাপাশি, বর্তমান কমিটির পক্ষ থেকে বিদায়ী নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বেশ কিছু গুরুতর অভিযোগ তোলা হয়। তাদের বক্তব্য,”গত কয়েক বছরে মিশনের নানা কাজকর্মে আর্থিক দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার বহু প্রমাণ আমরা পেয়েছি। সেই সব কাগজপত্র আদালতের সামনে ইতিমধ্যে তুলে ধরা হয়েছে, এবং ভবিষ্যতেও এই বিষয়ে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”সাধারণ মানুষের আশাবাদমিশনের পুনরুদ্ধার নিয়ে স্থানীয় মানুষ ও ভক্তদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ ও সন্তুষ্টির সুর শোনা গেছে। অনেকেই মনে করছেন, এই রায় মিশনের আদর্শ ও ধর্মনিরপেক্ষ মূল্যবোধ রক্ষার পথে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।উপসংহারআজকের ঘটনাটি শুধু একটি দায়িত্ব হস্তান্তরের নয়, বরং বিশ্বাস, অধ্যবসায় ও ন্যায়ের এক বাস্তব উদাহরণ। সর্ব ধর্ম মিশন আগামী দিনে কতটা ঐক্যবদ্ধ থেকে সমাজসেবামূলক ও ধর্মীয় কার্যক্রমে এগিয়ে যেতে পারে, এখন সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে সবাই।