
নিজস্ব প্রতিনিধি : ত্রিপুরা :প্রিয়াংকা বনিক :৩১ আগস্ট
ত্রিপুরার ভয়াবহ বন্যা ছিনিয়ে নিয়েছে মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান।
রাজ্যের বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতিতে ত্রাণ কাজে সহায়তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহার আহ্বানের পর আর্থিক অনুদান প্রদানে ব্যাপক গতি এসেছে। শুক্রবার ত্রিপুরার রাজ্যপাল ইন্দ্রসেনা রেড্ডি নাল্লু এবং ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই সহ বহু ব্যক্তি ও সামাজিক সংগঠন বন্যা ত্রাণ প্রদানে মানবিক মুখ নিয়ে এগিয়ে এলেন।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যে বন্যার কারনে উদ্ভূত পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাঁই ও ছত্তিসগড় সরকারকে ত্রিপুরাবাসীর পক্ষ থেকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। তিনি বন্যা ত্রাণে ১৫ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা করেছেন আপনাদের সকলের সার্বিক সহযোগিতায় এই বিপর্যয়কে মোকাবিলা করে আমরা শীঘ্রই বিকাশের মুল ধারায় সংযুক্ত হবো।
এক বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা জানান, বন্যাপীড়িত নাগরিকদের সহায়তার জন্য রাজ্যের মাননীয় রাজ্যপাল শ্রী ইন্দ্রসেনা নাল্লু রেড্ডি তাঁর এক মাসের বেতন বাবদ ২ লক্ষ ৬৬ হাজার ৮০০ টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করেছেন। মাননীয় রাজ্যপালের পক্ষ থেকে সচিব উত্তম কুমার চাকমা এই অর্থ রাশি সম্বলিত চেক আজ আমার হাতে তুলে দেন। এজন্য রাজ্যবাসীর পক্ষ থেকে রাজ্যপালকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
বন্যা ত্রাণে মানবিক সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসার জন্য সমস্ত দাতাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।



এদিকে আজ বন্যা ত্রাণে আর্থিক সহায়তা নিয়ে এগিয়ে এসেছেন রূপক সাহা এবং অর্পিতা সাহা (শ্যাম সুন্দর কো): ৫,০০,০০১ টাকা, স্টেট ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশন, ত্রিপুরা (সিট): ১৫,০১,১৭৭ টাকা, গোপাল চন্দ্র নাগ (স্বর্ণ কমল জুয়েলার্স): ১,০১,০০০ টাকা, ত্রিপুরা ফুটবল এসোসিয়েশন: ১,৫০,০০০ টাকা, অনিক ক্লাব: ১০,০০০ টাকা, ত্রিপুরা ল ক্লার্কস এসোসিয়েশন: ১০,০০০ টাকা, ডাঃ অনিন্দিতা দাস সরকার: ১০,০০০ টাকা, বাংলা সংস্কৃতি বলয়: ২৫,০০০ টাকা, শিশির রঞ্জন ভৌমিক: ২০,০০০ টাকা, সম্মিলিত নাট্য প্রয়াস: ১৫,০০০ টাকা, প্রণজিৎ বণিক ও বিজেপি গোমতী জেলা আইটি ও এসএম: ১২,০০০ টাকা।
এর পাশাপাশি পিয়ালী রায়: ২৫,০০০ টাকা, ত্রিপুরা রাজ্য এনএসএস সেল: ৫০,০০০ টাকা, কসমোপলিটান ক্লাব: ৩১,০০০ টাকা, সমস্ত মন্ত্রীর সিএ: ৩০,০০০ টাকা, ইউকো ব্যাংক অফিসার্স এসোসিয়েশন: ৩২,০০১ টাকা, ডাঃ দীপায়ন সরকার (ইন্ডিয়ান সাইকিয়াট্রিক সোসাইটি, আগরতলা): ৫০,০০০ টাকা, ত্রিপুরা পর্যটন উন্নয়ন নিগম: ৩৫,০০০ টাকা, হাবুল ধর ও ঋদ্ধি ধর, শান্তি পাড়া: ৫১,০০০ টাকা, সাঙ্কি দাস, ব্যবসায়ী: ২,০০,০০০ টাকা, ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক বিভাগের কর্মচারী বৃন্দ: ১,০০,০০০ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন।