
রাজ্যে স্মার্ট মিটার নিয়ে জনমনে তৈরি হওয়া বিভ্রান্তির নিরসনে এগিয়ে এলেন বিদ্যুৎ নিগমের অবসরপ্রাপ্ত কয়েকজন অভিজ্ঞ প্রকৌশলী। আজ আগরতলা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তারা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, স্মার্ট মিটার প্রযুক্তিনির্ভর একটি নিরাপদ মিটার এবং এর ফলে বিদ্যুৎ বিল বেড়েছে—এই অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন।প্রাক্তন প্রকৌশলীরা জানান, স্মার্ট মিটারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ব্যবহারের সঠিক তথ্য পাওয়া যায় এবং গ্রাহকরা নিজেদের খরচ সম্পর্কে নিয়মিত অবগত থাকতে পারেন। এর ফলে স্বচ্ছতা বাড়ে এবং বিদ্যুৎ পরিষেবার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে স্মার্ট মিটার।তাদের দাবি অনুযায়ী, চলতি জুলাই মাসে বিদ্যুৎ বিল কিছুটা বেশি আসার মূল কারণ হলো—“ফুয়েল অ্যান্ড পাওয়ার পারচেস কস্ট অ্যাডজাস্টমেন্ট (FPPCএ)” এবং “স্যান্ড্রি চার্জ” এর সংযোজন। তারা স্পষ্ট করে বলেন, FPPCএ নির্ধারণ করে ত্রিপুরা ইলেকট্রিসিটি রেগুলেটরি কমিশন, বিদ্যুৎ নিগম নয়। ফলে স্মার্ট মিটারের সঙ্গে এই অতিরিক্ত বিলের কোনও সম্পর্ক নেই।সাংবাদিক সম্মেলনে আরও জানানো হয়, রাজ্যের কিছু স্থানে অস্বাভাবিক বিলের অভিযোগ এসেছে, তবে তার জন্য স্মার্ট মিটার নয় বরং রিডিং সংগ্রহে কর্মীদের কিছু ভুল দায়ী হতে পারে। এই ধরনের সমস্যার সমাধানে স্থানীয় বিদ্যুৎ দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তারা।প্রাক্তন প্রকৌশলীরা জোর দিয়ে বলেন, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ধাপে ধাপে রাজ্যে স্মার্ট মিটার স্থাপন শুরু হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত এই প্রযুক্তির কারণে তেমন কোনো ত্রুটি দেখা যায়নি। বরং স্মার্ট মিটারের মাধ্যমে গ্রাহক ও নিগম উভয়ই নির্ভরযোগ্য তথ্যের ওপর ভিত্তি করে পরিষেবা পেতে সক্ষম হচ্ছেন।তারা জানান, স্মার্ট মিটার ব্যবহারে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দ্রুত চিহ্নিত করা সম্ভব হবে এবং পরিষেবা দ্রুত পুনরুদ্ধার করা যাবে। ভবিষ্যতের আধুনিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় স্মার্ট মিটার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হয়ে উঠছে বলে মত প্রকাশ করেন তারা।এই দিন উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী সুজিত বিশ্বাস, দিলীপ দাস, দেবব্রত লস্কর, সুদীপ কর প্রমুখ।