মাত্র তিনজন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে নিয়ে কোনোভাবে টিকে আছে বিদ্যালয়। অথচ সেই বিদ্যালয়ের একজন অভিজ্ঞ শিক্ষিকার বদলির নোটিশ জারি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ল সমগ্র এলাকা। শনিবার সকালে তেলিয়ামুড়া থানার অন্তর্গত থাপিদয়াল উচ্চ বিদ্যালয় চত্বর পরিণত হয় রণক্ষেত্রে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে পড়াশোনা করছে প্রায় ৮৬ জন ছাত্রছাত্রী, কিন্তু শিক্ষক সংখ্যা মাত্র তিন। সীমিত শিক্ষকবলেই এতদিন কোনওভাবে পাঠদান চলছিল। কিন্তু হঠাৎ এক শিক্ষিকার বদলির আদেশ আসতেই ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা একত্রিত হয়ে বিদ্যালয়ের গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
এরপরই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তেলিয়ামুড়া–ঘিলাতলী সড়ক অবরোধ করে ঘণ্টাব্যাপী চলে আন্দোলন। ফলে দীর্ঘক্ষণ যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কে।
খবর পেয়ে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অবশেষে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলেও এলাকাজুড়ে রয়ে গেছে প্রবল অসন্তোষের বাতাবরণ।
একজন ক্ষুব্ধ অভিভাবক বলেন, “এই বিদ্যালয়ে মাত্র তিনজন শিক্ষক আছেন। এখন যদি একজনকেও সরিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে আমাদের বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ঢেকে যাবে।”
অভিভাবকদের দাবি, থাপিদয়াল উচ্চ বিদ্যালয় ইতিমধ্যেই মারাত্মক শিক্ষক সংকটে ভুগছে। প্রশাসন যদি বদলির আদেশ প্রত্যাহার না করে, তবে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামবেন তারা।
শিক্ষিত মহলের মতে, পাহাড়ি ও প্রান্তিক এলাকার বিদ্যালয়গুলোতে দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষক স্বল্পতার সমস্যা চলছে। সরকারের শিক্ষা উন্নয়নের আশ্বাস সত্ত্বেও বাস্তব পরিস্থিতি ক্রমশ নাজুক হয়ে উঠছে—আর থাপিদয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের এই ঘটনাই যেন তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।