
ত্রিপুরার শিক্ষাঙ্গনে ফের বিতর্ক। রাজধানীর অন্যতম সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রামঠাকুর কলেজে প্রথম বর্ষের ভর্তি প্রক্রিয়ায় জাল রসিদের মাধ্যমে ভর্তি হওয়ার অভিযোগ সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর। বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী কিশোর বর্মণ দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।মন্ত্রী কিশোর বর্মণ জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই শিক্ষা দফতরের অধিকর্তাকে একটি তদন্তকারী দল গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন,”এই ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ড বরদাস্ত করা হবে না। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে মন্ত্রী, জোর দিচ্ছেন বাস্তব পরিস্থিতির মূল্যায়নেএদিনই এমবিবি বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে যান কিশোর বর্মণ। দায়িত্ব গ্রহণের পর এটিই ছিল তাঁর প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় সফর। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে এক দীর্ঘ বৈঠকে বসেন তিনি। পাশাপাশি সরাসরি ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গেও কথা বলেন, জানতে চান তাঁদের সমস্যা ও প্রয়োজনের কথা।মন্ত্রী জানান,”আমাদের লক্ষ্য হলো রাজ্যের অধীনে থাকা সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের বাস্তব অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা। কোথায় সমস্যা, তা চিহ্নিত করে দ্রুত সমাধান নিশ্চিত করাই আমাদের অগ্রাধিকার।”পরিকাঠামো উন্নয়ন ও একত্রীকরণের পরিকল্পনাএই সফরকালে এমবিবি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামোগত ঘাটতি ও উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা হয়। মন্ত্রী বর্মণ জানান,”বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও কার্যকরী এবং শক্তিশালী শিক্ষাকেন্দ্রে পরিণত করতে রাজ্য সরকার একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে। ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা আরও কলেজকে এমবিবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আনার চিন্তাভাবনা চলছে।”এর পাশাপাশি নতুন কলেজগুলোকেও ভবিষ্যতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।উপসংহার: শিক্ষাক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও সংস্কারের সংকল্পরামঠাকুর কলেজে ভর্তি সংক্রান্ত জালিয়াতি নিঃসন্দেহে এক গুরুতর ইঙ্গিত দিচ্ছে রাজ্যের শিক্ষা প্রশাসনের প্রতি। তবে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী কিশোর বর্মণের সক্রিয় পদক্ষেপ শিক্ষাক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার বার্তা দিচ্ছে। ভবিষ্যতের জন্য রাজ্যের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত ও নির্ভরযোগ্য করতে মন্ত্রীর এই উদ্যোগকে ইতিবাচক দৃষ্টিতেই দেখছেন বিশ্লেষকরা।