
ত্রিপুরার বিশালগড় থানাকে ঘিরে নতুন করে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য। এক সড়ক দুর্ঘটনার জেরে এক ব্যক্তির মৃত্যু এবং সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে আড়াল করার অভিযোগ সামনে আসতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় মহলে। অভিযোগ, ২১ লক্ষ টাকার ঘুষের বিনিময়ে পুলিশ এক নিরপরাধ ব্যক্তিকে ফাঁসিয়ে, আসল অপরাধীকে আইনের হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে।ঘটনাটি ঘটে ১৯ জুন, ঘনিয়ামারা নিচের চৌমহনী সড়কে। ফারুক মিয়া নামে এক ব্যক্তি তাঁর গাড়ি দিয়ে রাজ্জাক মিয়াকে ধাক্কা মারেন। গুরুতর আহত অবস্থায় রাজ্জাক মিয়াকে প্রথমে মহাকুমা হাসপাতালে এবং পরে হাঁপানিয়া হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু পথেই মৃত্যু হয় তাঁর।মৃতের পরিবারের অভিযোগ, ফারুক মিয়া—যিনি বর্তমানে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত—ইচ্ছাকৃতভাবে গাড়ি চালিয়ে রাজ্জাককে ধাক্কা মেরেছেন। তাঁরা ফারুকের বিরুদ্ধে বিশালগড় থানায় মামলা দায়ের করেন। কিন্তু বিস্ময়করভাবে, পুলিশ তদন্তে ফারুকের নাম বাদ দিয়ে তোফাজ্জল নামে অন্য একজনকে অভিযুক্ত করে গ্রেফতার করে।স্থানীয় মহলের দাবি, ২১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে থানা ‘ম্যানেজ’ করা হয়েছে। অভিযোগের আঙুল ওসি সঞ্জিত সেন এবং তদন্তকারী অফিসারের দিকেই। জানা যাচ্ছে, সঞ্জিত সেনের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু এবারের ঘটনা সরাসরি এক খুনের মামলায় হস্তক্ষেপ এবং আসল অভিযুক্তকে আড়াল করার চেষ্টা বলেই ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।রাজ্জাক মিয়ার পরিবার এবং স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তুলেছেন। তাঁদের প্রশ্ন, কেন পুলিশ ফারুকের নাম বাদ দিল? রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরও হস্তক্ষেপ দাবি করছেন তাঁরা।ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য প্রশাসনের উপর চাপ ক্রমেই বাড়ছে। এখন দেখার, কতটা দ্রুত এবং নিরপেক্ষভাবে এই মামলার নিষ্পত্তি করা হয়।