
নিয়োগের দাবিতে আজ ফের বিক্ষোভে এস টি জি টি পরীক্ষার্থীরা। পুরনো নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না করেই রাজ্য সরকার নতুন নিয়োগের প্রস্তুতি নিচ্ছে—এই অভিযোগে তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়লেন ২০২২ সালের এসটিজিটি (STGT) পরীক্ষার্থীরা। আজ শিক্ষা ভবন প্রাঙ্গণে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হয়ে তারা সরকারের উদ্দেশে স্পষ্ট বার্তা দেন: “পুরনো নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন, তার পরেই নিন নতুন নিয়োগের উদ্যোগ।”প্রার্থীদের অভিযোগ, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এসটিজিটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও আজ পর্যন্ত তার ফল প্রকাশ করা হয়নি। ইতিমধ্যে প্রায় তিন বছর পেরিয়ে গেলেও নিয়োগ প্রক্রিয়া ঝুলে রয়েছে। পাশাপাশি সংরক্ষণ নীতি যথাযথভাবে না মানার অভিযোগে হাইকোর্টে মামলা হলে, ত্রিপুরা হাইকোর্ট সরকারকে সংরক্ষণ মেনে নিয়োগ সম্পন্ন করার নির্দেশ দেয়।এ বিষয়ে এক পরীক্ষার্থী বলেন,”সরকার বর্তমানে যে সব নিয়োগ করছে সেখানে সংরক্ষণ নীতি মানা হচ্ছে, তবে কেন ২০২২ সালের নিয়োগে সেই নীতি মানা হবে না—তা আমরা বুঝতে পারছি না।”উল্লেখযোগ্যভাবে, রাজ্যে শিক্ষক ঘাটতির বিষয়টি সরকার নিজেই স্বীকার করেছে। বিধানসভায় দেওয়া তথ্যে জানানো হয়েছে, STGT স্তরে প্রায় ১,৪০০ টি পদ শূন্য রয়েছে। পরীক্ষার্থীদের দাবি, এত বিপুল শূন্যপদের মধ্যেও ২০২২ সালের পরীক্ষার্থীদের নিয়োগ না করে সরকার নতুন পদ সৃষ্টিতে ব্যস্ত।তাদের আরও অভিযোগ, সম্প্রতি নতুন সাত শতাধিক শূন্য পদ তৈরি করা হয়েছে, যার জন্য আবারো নিয়োগ প্রক্রিয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সেই প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণ নীতি মানা হলে, ২০২২ সালের নিয়োগে তা মানতে সরকারের সমস্যা কোথায়—এই প্রশ্নই এখন বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে।পরীক্ষার্থীদের একাংশ আশঙ্কা প্রকাশ করেন, ফল প্রকাশ ও নিয়োগ বিলম্বের কারণে অনেকেই বয়সসীমা অতিক্রম করে ফেলছেন, ফলে তারা আইনি পদক্ষেপে যেতে বাধ্য হতে পারেন।বিক্ষোভ শেষে তারা শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা এন.সি. শর্মার কাছে তাদের দাবিসনদ জমা দেন এবং পুরনো নিয়োগ দ্রুত সম্পন্ন করার আবেদন জানান।