
ত্রিপুরা রাজ্য মৎসজীবী ইউনিয়নের রাজ্য কমিটি বৃহস্পতিবার এক বিশাল রাজভবন অভিযানের আয়োজন করে। রাজ্যের মৎসজীবীদের উন্নয়ন ও সাধারণ মানুষের কল্যাণে ৯ দফা দাবিপত্র রাজ্যপালের কাছে জমা দেয় সংগঠনটি।সংগঠনের অন্যতম প্রধান দাবি ছিল, রাজ্যের সমস্ত সরকারি ও আধাসরকারি জলাশয়গুলো যেন সহজ শর্তে এবং টেন্ডার ছাড়াই মৎসজীবী সমবায় সমিতির হাতে তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া মাছ উৎপাদনের জন্য সমিতিগুলিকে আর্থিক অনুদান এবং সমিতির ম্যানেজারদের ন্যূনতম মাসিক বেতন ১৮,০০০ টাকা নির্ধারণের দাবি জানানো হয়েছে। নিয়মিত নির্বাচন ও অডিট চালুর উপরও জোর দেয় তারা।ডম্বুর জলাশয়কে বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত বাতিলের আহ্বান জানিয়ে সংগঠনটি জানিয়েছে, মাছ ধরার শ্রমিকদের সুরক্ষার জন্য বেড় জালের ব্যবস্থা এবং তাদের ন্যায্য মজুরি—মাছের বিক্রয় মূল্যের ২৫ শতাংশ বা জনপ্রতি ৬০০ টাকা (যেটা বেশি)—নিশ্চিত করতে হবে।এছাড়া গৃহহীন মৎসজীবীদের জন্য পাকা বাড়ি ও শৌচালয়ের ব্যবস্থা, বাড়ি তৈরির বরাদ্দ ৫ লক্ষ টাকায় উন্নীতকরণ, মাছ বিক্রেতাদের জন্য আধুনিক সরঞ্জাম ও বিনা শর্তে ঋণ প্রদান, এবং মৎস্য ব্যবসার সাথে যুক্ত শ্রমিকদের উপযুক্ত মজুরির দাবিও উঠে আসে।সংগঠনটি সপ্তাহে একদিন পাইকারি মাছের দোকান বন্ধ রাখার প্রস্তাব দিয়েছে শ্রমিকদের বিশ্রামের স্বার্থে। প্রত্যেক মহকুমায় আধুনিক স্থায়ী মাছ বাজার গড়ারও দাবি জানানো হয়।মৎসজীবী ভাতা এবং অন্যান্য ভাতা বৃদ্ধি করে ৫,০০০ টাকা করার পাশাপাশি, যাদের ভাতা বন্ধ হয়েছে তা পুনরায় চালুর দাবি তোলে ইউনিয়ন।সবশেষে, দরিদ্র পরিবারদের প্রতি মাসে মাথাপিছু ১০ কেজি চাল বিনামূল্যে দেওয়ার এবং ছাত্রছাত্রীদের স্টাইপেন্ডের পরিমাণ ও পারিবারিক আয়ের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানোর কথা বলা হয়। তারা শিক্ষার বেসরকারীকরণের বিরুদ্ধেও কড়া অবস্থান নেয়।সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দাবি না মানা হলে ভবিষ্যতে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবে তারা।