
২২ মে ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি নির্দেশিকা জারি করে, যাতে দেশের সমস্ত রাজ্যকে বলা হয় বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে ফেরত পাঠাতে। এই নির্দেশিকায় চারটি ধাপে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার কথা বলা হয়।এই নির্দেশিকা অনুসরণে ত্রিপুরা রাজ্যে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানার জন্য ২৪ জুন ড. বিজয় দেববর্মা এবং জন দেববর্মা রাজ্য সরকারের কাছে লিখিত আবেদন করেন। কিন্তু সরকারের প্রতিক্রিয়া অনুপস্থিত থাকায়, বিষয়টি নিয়ে ৫ জুলাই ত্রিপুরা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়।মামলাকারীদের পক্ষের আইনজীবী আদালতকে জানান, অবৈধ অভিবাসীদের প্রত্যাবাসনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো শুধুমাত্র আসামে রয়েছে, ত্রিপুরায় নয়। তাই আদালতের কাছে অনুরোধ জানানো হয় রাজ্য সরকারকে সেই ধরনের পরিকাঠামো গড়ে তোলার নির্দেশ দেওয়ার জন্য।তবে আদালত এই আবেদন নিষ্পত্তি করে জানিয়ে দেয়, আবেদনকারীদের পেশ করা তথ্য ও দাবি এখনও খুব অল্প সময়ের মধ্যে তোলা হয়েছে। যেহেতু তাদের আবেদন জমা দেওয়ার এক মাসও হয়নি, তাই তাদের কিছুটা সময় অপেক্ষা করা উচিত ছিল।এই রায়ের পর রাজ্যে অবৈধ অভিবাসী ইস্যুতে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলে আলোচনা তীব্রতর হয়েছে। এখন দেখার বিষয়, রাজ্য সরকার ভবিষ্যতে এই নির্দেশ কার্যকর করতে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে।