
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী লঙ্কামুড়া এলাকায় ধানক্ষেত থেকে একটি সন্দেহজনক ড্রোন উদ্ধার করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (BSF)। স্থানীয় শিশুদের চোখে পড়া এই ড্রোনটিকে প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দারা লক্ষ্য করেন এবং পরে বিএসএফকে খবর দেওয়া হয়।সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল—ঘটনার সময় নয়াদিল্লিস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনার মোঃ রিয়াজ হামিদুল্লা ত্রিপুরা সফরে ছিলেন এবং আগরতলা চেকপোস্ট পরিদর্শনে যান। এই পরিস্থিতিতে ড্রোন উদ্ধারের ঘটনাটি নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মধ্যে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।সূত্র অনুযায়ী, উদ্ধার করা ড্রোনটি বর্তমানে আগরতলা এয়ারপোর্ট থানার হেফাজতে রয়েছে এবং ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, ড্রোনটি চীনে নির্মিত এবং এতে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন নজরদারি ক্যামেরা সংযুক্ত রয়েছে। এটি অত্যন্ত সূক্ষ্ম নজরদারির জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক ধারণা।বিএসএফ-এর এক কর্মকর্তা জানান, “এই ড্রোনটি নজরদারির উদ্দেশ্যেই ব্যবহৃত হয়েছে বলে সন্দেহ করছি। আগরতলা বিমানবন্দরের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানের নিকটবর্তী এলাকায় এই ধরনের ড্রোনের উপস্থিতি বিশেষত স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে উদ্বেগের বিষয়।”তিনি আরও বলেন, ড্রোনটির সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় সেটি ধানক্ষেতে পড়ে গেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।এদিকে, সাম্প্রতিক গোয়েন্দা প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর সঙ্গে যুক্ত কিছু এজেন্ট ও জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে। এর সঙ্গে সীমান্তে ড্রোনের উপস্থিতি মিলিয়ে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি অত্যন্ত সতর্ক দৃষ্টিতে গোটা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বিএসএফ ছাড়াও অন্যান্য কেন্দ্রীয় বাহিনী ও ত্রিপুরা পুলিশকে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজকের ড্রোন উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশেষ করে লঙ্কামুড়া সীমান্তে নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে।তবে এখনও স্পষ্ট নয়, এই ড্রোনটি কোথা থেকে উড়েছিল এবং এর প্রকৃত উদ্দেশ্যই বা কী ছিল। গোটা প্রশাসন ও তদন্তকারী সংস্থাগুলি এখন চূড়ান্ত ফরেনসিক রিপোর্টের দিকে তাকিয়ে।