ত্রিপুরার শিক্ষাক্ষেত্রে নবযুগের সূচনা, চালু হল ‘স্কুল কোয়ালিটি অ্যাসেসমেন্ট এন্ড এক্রিডিটেশন ফ্রেমওয়ার্ক’
ত্রিপুরায় শিক্ষা ব্যবস্থাকে নতুন দিশা দেখাতে শুরু হল ‘ত্রিপুরা স্কুল কোয়ালিটি অ্যাসেসমেন্ট এন্ড এক্রিডিটেশন ফ্রেমওয়ার্ক’ বা সংক্ষেপে T-SQAAF। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে।এই উদ্যোগ রাজ্য সরকারের ‘জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০’-এর বাস্তবায়নের অংশ। শিক্ষার মানোন্নয়ন ও সমতা আনয়নকে কেন্দ্র করে তৈরি এই কাঠামো রাজ্যের প্রতিটি বিদ্যালয়ের গুণমান, কার্যকারিতা, শিক্ষক-শিক্ষিকার দক্ষতা এবং শিক্ষার পরিবেশের ওপর ভিত্তি করে মূল্যায়ন করবে।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিক্ষাপ্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিক, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা। মুখ্যমন্ত্রী জানান, “এই ফ্রেমওয়ার্ক ত্রিপুরার স্কুলশিক্ষায় একটি নতুন মানদণ্ড স্থাপন করবে। বিদ্যালয়গুলিকে উৎকর্ষের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।”তিনি আরও বলেন, এতদিন ত্রিপুরার শিক্ষা পদ্ধতি কেন্দ্রীয় স্তরের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না, যার ফলে বহু ছাত্রছাত্রী উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েছে। T-SQAAF চালুর মাধ্যমে এখন অভিন্ন মূল্যায়ন ব্যবস্থার মাধ্যমে ত্রিপুরার ছাত্রছাত্রীরা সারাদেশের সঙ্গে সমানতালে এগোতে পারবে।এই কাঠামো শুধু বিদ্যালয়গুলির দুর্বলতা ও শক্তি নির্ধারণেই সাহায্য করবে না, বরং আগামী দিনে শিক্ষানীতি প্রণয়নে ও পরিকাঠামোগত উন্নয়নে নির্দেশক হিসেবেও কাজ করবে।মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, “পাঠ্যক্রম শেষ করাই শিক্ষা নয়। শিক্ষার্থীদের মধ্যে নৈতিকতা, সামাজিক মূল্যবোধ এবং জাতিগঠনের ভাবনা গড়ে তুলতে হবে।”বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা এন. সি. শর্মা এবং শিক্ষা দপ্তরের বিশেষ সচিব হেমেন্দ্র কুমারও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা বলেন, এই নতুন কাঠামোর মাধ্যমে রাজ্য সরকার বিদ্যালয়গুলিতে আরও নিবিড় নজরদারি রাখতে পারবে, যা শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা পরিকাঠামোর উন্নয়নে সহায়ক হবে।শিক্ষাবিদদের মতে, এই নতুন মূল্যায়ন পদ্ধতি শুধু বর্তমানে নয়, দীর্ঘমেয়াদেও ত্রিপুরার শিক্ষা ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।
Post Comment