
দক্ষিণ ত্রিপুরার সাব্রুম মহকুমার অন্তর্গত বেতাগা এডিসি ভিলেজে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃতা সমিতা ত্রিপুরার (বয়স আনুমানিক ৩০) মৃত্যুকে ঘিরে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। পরিবার থেকে দাবি করা হয়েছে, এটি আত্মহত্যা নয়, বরং পরিকল্পিত হত্যা।ঘটনার সূত্রপাত হয় সোমবার রাতে, যখন সমিতা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর স্বামীর পরিবার জানায়, তিনি কিছু খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং প্রথমে তাঁকে মনু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় শান্তিরবাজারের দক্ষিণ জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে কলাছড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।পরিবার দাবি করছে, মৃত্যুটি স্বাভাবিক নয়। মৃতার ভাই দয়া প্রসন ত্রিপুরা জানান, তাঁদের বোনের শরীরে বিশেষ করে পিঠ ও কানের পাশে রক্ত জমাট বাঁধা দেখা যায়, যা মারধরের ইঙ্গিত দেয়। তিনি আরও জানান, মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরপরই তাঁরা বেতাগা পৌঁছে সৎকারের প্রস্তুতি দেখতে পান, এবং তখনই সৎকার বন্ধ করে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।পরে সাব্রুম থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে সাব্রুম মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।মৃতার ভাইয়ের দাবি অনুযায়ী, ‘‘এটি স্পষ্টভাবে একটি হত্যাকাণ্ড। আমরা চাই, সঠিক তদন্ত হোক এবং দোষীরা শাস্তি পাক।’’অন্যদিকে, মৃতার স্বামীর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সমিতা মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন এবং আত্মহত্যা করেছেন।এই ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এখন ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ও পুলিশি তদন্তের ভিত্তিতেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ স্পষ্ট হবে।