
বিহারের মতো ত্রিপুরাতেও বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের ঠেকাতে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (Special Intensive Revision, SIR) উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। আজ রাজধানীতে কমিশনের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর এই তথ্য জানান তিপ্রা মথা দলের প্রাক্তন প্রধান তথা এমডিসি প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মন।ত্রিপুরায় অনুপ্রবেশ ইস্যুকে ঘিরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রদ্যোত জানান, অনুপ্রবেশের বর্তমান হারে চলতে থাকলে রাজ্যের স্থানীয় বাসিন্দাদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য ভবিষ্যতে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। তিনি বলেন, “বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের হার ক্রমশ বাড়ছে, যা শুধু রাজ্যের নয়, গোটা দেশের পক্ষেও একটি বিপজ্জনক সংকেত।”প্রদ্যোতের নেতৃত্বে আজ কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা, বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা, বৃষকেতু দেববর্মা-সহ দলের অন্য শীর্ষ নেতারা। বৈঠকে ত্রিপুরার ভোটার তালিকায় বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের নাম থাকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কমিশনের হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়।নির্বাচন কমিশনের আশ্বাস:বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়, বিহারের মতো দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলিতেও অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে SIR প্রক্রিয়া চালু করা হচ্ছে। ত্রিপুরাও এর ব্যতিক্রম হবে না। শিগগিরই সেখানে এই প্রক্রিয়া শুরু হবে।তিপ্রা মথার অবস্থান স্পষ্ট:প্রদ্যোত জানান, তিপ্রা মথা একটি স্বাধীন দল এবং তারা শুধুমাত্র রাজ্যের স্বার্থেই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে। তিনি বলেন, “এই পদক্ষেপে বিজেপির কোনও ভূমিকা নেই, এটি একান্তই তিপ্রা মথার পক্ষ থেকে ত্রিপুরাবাসীর নিরাপত্তার স্বার্থে নেওয়া হয়েছে।” ভবিষ্যতে প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টেও যাওয়ার বার্তা দেন তিনি।তিপ্রাসা চুক্তি নিয়ে হুঁশিয়ারি:বৈঠকে তিপ্রাসা চুক্তি সম্পর্কেও কথা বলেন প্রদ্যোত কিশোর। তিনি বলেন, “সরকারের সঙ্গে শরিক হওয়ার একমাত্র কারণ ছিল তিপ্রাসা চুক্তি। যদি সরকার এই চুক্তি বাস্তবায়ন না করে, তাহলে জোটে থাকা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে।