
রাজধানীর একটি স্কুল ভবনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ জেট বিধ্বস্ত হয়ে কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। দুর্ঘটনায় বিমানের পাইলটসহ বহু শিক্ষার্থী এবং স্কুলের কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন।পুলিশ ও দমকল বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধার অভিযান শুরু হয় এবং আহতদের ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই স্কুল ভবনের অভ্যন্তরে অবস্থান করছিলেন বলে জানা গেছে।বিমান বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, নিহত পাইলটের নাম উইং কমান্ডার মাহমুদ রশীদ, যিনি দীর্ঘদিন ধরে বাহিনীতে প্রশিক্ষণ পাইলট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তার মৃত্যুতে বিমান বাহিনী গভীর শোক প্রকাশ করেছে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্ঘটনাটিকে “জাতীয় শোকের দিন” হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি ঘটনাস্থলে সর্বোচ্চ প্রশাসনিক ও চিকিৎসা সহায়তা নিশ্চিতের নির্দেশ দেন।সরকার ইতোমধ্যেই একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, যারা এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সব ধরনের আর্থিক ও মানসিক সহায়তা দেওয়া হবে।উল্লেখ্য, এটি সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে ঢাকায় ঘটে যাওয়া অন্যতম ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা। এর আগে এক মাসেরও কিছু বেশি সময় আগে ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান মেডিকেল কলেজের হোস্টেলের ওপর বিধ্বস্ত হয়ে ২৪১ জন যাত্রী ও ১৯ জন স্থানীয় বাসিন্দা নিহত হয়েছিলেন।