
নিঃশব্দে যেন আরও এক নারী নিঃশেষ হল সংসারের দাবানলে! রাজ্যের বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে আজ চাঞ্চল্য ছড়াল, যখন এক তরুণী গৃহবধূর ঝুলন্ত মৃতদেহ নিয়ে হাজির হল তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন—কিন্তু পুলিশকে জানানো হলো না একবারও! কেন? কী লুকোতে চেয়েছিল তারা?মৃতার নাম শিউলি দেবনাথ, বয়স মাত্র ১৯। তিন বছর আগে বিয়ে হয় গোকুলনগর আদর্শ কলোনির রাজু দেবনাথের সঙ্গে। অথচ সুখের সংসার তৈরি হওয়ার আগেই অশান্তির অগ্নিস্নানে ভস্ম হল তরুণীর জীবন! বিয়ের মাত্র দুই মাসের মধ্যেই ঘনিয়ে আসে অশান্তি—এতটাই যে, একটানা ১১ মাস বাবার বাড়িতে থাকতে বাধ্য হন শিউলি।পরিবারের অভিযোগ আরও মারাত্মক। তারা দাবি করছে, শিউলিকে পণের জন্য দিনের পর দিন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের মুখে পড়তে হয়েছে। তাঁর স্বামী, শাশুড়ি ও শ্বশুর মিলেই তৈরি করেছিল এক গৃহ-নরক! অভিযোগ, শিউলির গায়ে হাত তোলা ছিল শ্বশুরের নিত্য অভ্যাস।এদিকে শুক্রবার সকালে খবর আসে—শিউলি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে! কিন্তু তাঁর বাবার দাবি স্পষ্ট: “আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। ওকে খুন করা হয়েছে। ওদের সাজা চাই!”চাঞ্চল্য বাড়ে যখন জানা যায়, মৃতদেহ হাসপাতালের মর্গে এনে রাখা হলেও দুপুর দুটো পর্যন্ত কোনো চিকিৎসকই দেখা দেননি। ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতার পরিবার ও এলাকাবাসীরা। বিশালগড় মহকুমা হাসপাতাল চত্বর কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।শেষমেশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশালগড় থানার পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত, দায়ের হয়েছে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা। তবে স্থানীয়দের প্রশ্ন—এটা কি শুধু আত্মহত্যা, নাকি নারকীয় এক খুন যার পরিকল্পনা হয়েছিল বহুদিন আগে?এখন সব প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে শিউলির মৃত্যুতে , আর তার নেপথ্যে থাকা সত্যে। পুলিশ কী পারবে সেই সত্যকে সামনে বের করে আনতে ? নাকি আরও একটি মৃত্যুর রহস্য হারিয়ে যাবে আইনি প্যাঁচে?