
মাত্র ২ বছর ৩ মাস বয়সে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে নাম লেখালো কমলপুরের বিস্ময় বালক সোহান্স দাস। এই অসাধারণ সাফল্যে খুশির জোয়ার ছড়িয়ে পড়েছে শুধুমাত্র তার পরিবারে নয়, বরং গোটা কমলপুর ও খোয়াই মহকুমা জুড়ে।সোহান্স দাস, কমলপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক সুবল চন্দ্র দাস ও লেকচারার শিউলি দেবনাথের একমাত্র সন্তান। জন্ম থেকেই তার অসাধারণ স্মৃতিশক্তি ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় মেলে। পরিবারের সদস্যরা জানান, যে কোনো নতুন তথ্য একবার শুনেই মনে রাখতে পারে সোহান্স। শিশুকালে যেমন শেখানো হতো গান, ছড়া বা সংখ্যা—সবই সে হুবহু পুনরাবৃত্তি করতো।ছেলের প্রতিভা বুঝেই বাবা-মা তাঁকে নানা বিষয় শেখাতে শুরু করেন খেলাচ্ছলে—ফল, ফুল, সবজি, সংখ্যা, রঙ—সবই সে দ্রুত রপ্ত করে ফেলে। তবে, এই সাফল্যের পেছনে মায়ের অবদান উল্লেখযোগ্য বলে জানান অধ্যাপক সুবল চন্দ্র দাস। পাশাপাশি, দাদু-দিদারাও তার শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।চলতি বছরের মার্চ মাসে বেঙ্গালুরুস্থিত ‘ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড’ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন সোহান্সের পরিবার। একাধিক অনলাইন ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচাই-বাছাই শেষে সোহান্সের নাম লিপিবদ্ধ হয় ভারতের অন্যতম রেকর্ডবুকে। জুলাই মাসেই আসে স্বীকৃতি ও সম্মাননা।মা শিউলি দেবনাথ বলেন, “সোহান্সের এই অর্জন আমাদের গর্বিত করেছে। আমরা চাই, ভবিষ্যতে সে নিজের পছন্দের পথে এগিয়ে যাক। আমরা সবরকম সহায়তা করবো।”উল্লেখ্য, সোহান্সের পৈতৃক বাড়ি খোয়াই মহকুমার রামচন্দ্রঘাট এলাকায়। তার এই কৃতিত্বে রামচন্দ্রঘাটবাসীর মধ্যেও আনন্দের বন্যা বইছে।আগুন যেমন ছাই চাপা দিয়ে রাখা যায় না, তেমনি প্রতিভাও চাপা পড়ে না—সোহান্স দাস তার প্রমাণ।