×

আগামী তেসরা সেপ্টেম্বর ৯ রাজ্যের রাজ্যসভার শুন্য আসনে হতে যাচ্ছে নির্বাচন।

Tripura loksabha

আগামী তেসরা সেপ্টেম্বর ৯ রাজ্যের রাজ্যসভার শুন্য আসনে হতে যাচ্ছে নির্বাচন।

সরাসরি আমজনতার মাধ্যমে মনোনীত হয়ে থাকেন লোকসভার সাংসদরা। দেশের সংসদের মোট দুইটি কক্ষ রাজ্যসভা এবং লোকসভা। তবে রাজ্যসভার প্রতিনিধিরা সরাসরি জনতার ভোটে নির্বাচিত হন না। তাঁরা নির্বাচিত হন বিভিন্ন রাজ্যের বিধায়কদের মাধ্যমে। এই আবহে রাজ্যসভার ৫৬টি আসনের মধ্যে বর্তমানে ফাঁকা রয়েছে ১২টি আসন।

উল্লেখ্য, রাজ্যসভার সাংসদদের মেয়াদ ৬ বছর। তবে এক সঙ্গেই রাজ্যসভার সমস্ত সাংসদের মেয়াদ শেষ হয় না। প্রতি ২ বছরে এক তৃতীয়াংশ সদস্যের মেয়াদ শেষ হয়। সেই মতো ভোটগ্রহণ হয়ে থাকে। তাই বর্তমানে রাজ্যসভায় মোট ১২টি শূন্য আসনে ৩ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন।

বুধবার নির্বাচন কমিশনের তরফে জানান হয়েছে, রাজ্যসভায় এই ফাঁকা আসনে নির্বাচন হবে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর । রাজ্যসভা নির্বাচনে যারা লড়বেন তাদেরকে আগামী ১৪ অগস্ট থেকে ২১ অগস্টের মধ্যে মনোনয়ন জমা দিতে হবে । কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, রাজ্যসভার প্রতিটি আসনে ভোট প্রক্রিয়া চলবে সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত। আর বিকেল ৫ টা থেকে শুরু হবে ভোট গণনা। কমিশন সূত্রে খবর, নির্বাচন হওয়া ১২টি শূন্য আসনের মধ্যে দুটি করে বিহার, মহারাষ্ট্র ও অসমের এবং একটি করে মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, রাজস্থান, ওড়িশা, তেলেঙ্গানা ও ত্রিপুরার। বলা বাহুল্য, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, সর্বানন্দ সোনোয়াল এবং জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া সহ দশটি রাজ্যসভা আসন ফাঁকা হয়েছে। তাই এই সকল আসনের জন্য রাজ্যসভায় হতে চলেছে নির্বাচন।

রাজ্যসভা ভারতের দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদীয় ব্যবস্থার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা নির্বাহী ও বিচার বিভাগের পাশাপাশি দেশের গণতন্ত্রের তিনটি স্তম্ভের একটি গঠন করে। আইন প্রণয়নের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, আইন প্রণয়ন শাখা দেশের শাসন ব্যবস্থা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কেন্দ্রীয় স্তরে, ভারতীয় আইনসভায় লোকসভা এবং রাজ্যসভা রয়েছে, যাকে প্রায়ই যথাক্রমে নিম্ন ও উচ্চকক্ষ হিসাবে অভিহিত করা হয়।

যদিও লোকসভা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণের প্রত্যক্ষ ইচ্ছার প্রতিনিধিত্ব করে, রাজ্যসভা রাজ্যের পরিষদ হিসাবে কাজ করে, ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের স্বার্থকে মূর্ত করে। লোকসভার বিপরীতে, যেখানে সদস্যরা সরাসরি নির্বাচিত হয়, রাজ্যসভার সদস্যরা প্রাথমিকভাবে রাজ্য সরকারগুলি দ্বারা পরোক্ষভাবে নির্বাচিত হয়। এই সেটআপটি কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যের শাসনের স্তরের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য নিশ্চিত করে। সর্বোচ্চ 245 সদস্যের সীমা সহ, রাজ্যসভায় মনোনীত প্রতিনিধি সহ রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে নির্বাচিত সদস্যদের মিশ্রণ রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণভাবে, রাজ্যসভার সদস্যরা ছয় বছরের স্তিমিত মেয়াদে কাজ করে, আইনী প্রক্রিয়ায় ধারাবাহিকতা এবং স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে।

Post Comment