অন্য কোথাও খুন করা হয়েছিলো ? সিবিআই-এর তদন্তে উঠে আসছে নতুন তথ্য
নিজস্ব প্রতিনিধি : কলকাতা : প্রিয়াংকা বনিক : ১৮ আগস্ট
যতো দিন গড়াচ্ছে আর জি কর ঘটনা নিয়ে উঠে আসছে নতুন নতুন তথ্য।
আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চেস্ট বিভাগের সেমিনার হলে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছিল, নাকি অন্যত্র ঘটনা ঘটিয়ে পরে তার দেহ সেখানে সাজিয়ে রাখা হয়েছিল? এই প্রশ্নেই এখন গভীরভাবে চিন্তিত সিবিআই-এর তদন্তকারীরা। যদি দ্বিতীয়টি ঘটে থাকে, তাহলে এই হত্যাকাণ্ডে একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা।
এমনই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রবিবার মৃতার বাবা-মাও।
সিবিআই-এর তদন্তে উঠে আসছে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। চেস্ট বিভাগের সেমিনার হল ছাড়াও, সেখানে ৬০টি শয্যা এবং আরও দুটি ঘর রয়েছে, যেখানে রাতে সাধারণত কেউ থাকে না। তদন্তকারীরা মনে করছেন, ওই খালি ঘরগুলিতে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘটতে পারে। এই সন্দেহের ভিত্তিতে, চেস্ট বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় থ্রিডি স্ক্যানার দিয়ে ম্যাপিং ও ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে, যাতে ঘটনাস্থল সম্পর্কে আরও সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়।
এই রহস্যময় ঘটনায় সিবিআই-এর তদন্ত ক্রমশ গভীরে প্রবেশ করছে, এবং প্রতিটি নতুন প্রশ্ন নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিচ্ছে। এই ঘটনায় প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটিত হতে কতটা সময় লাগবে, তা নিয়ে উৎকণ্ঠা বাড়ছে। তবে একাধিক সম্ভাবনা সামনে আসায় তদন্তকারীরা যে কোনো দিক থেকে নজর সরাচ্ছেন না, তা স্পষ্ট।
এছাড়া ও আরও বেশ কয়েকটি প্রশ্ন ইতিমধ্যে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।
প্রসঙ্গত, নির্যাতিতার মা-বাব প্রথম থেকেই বলে এসেছেন, যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এবং পুলিশের ভূমিকায় তাঁরা ‘সন্তুষ্ট নন’। নির্যাতিতার বাবার কথায়, ‘মুখ্যমন্ত্রী ন্যায়বিচার দেওয়ার কথা বলছেন। কিন্তু যে সব সাধারণ মানুষ ন্যায়বিচারের দাবি করছেন, তাঁদের তিনি জেলে ভরার চেষ্টা করছেন। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি সন্তুষ্ট নই। ওঁর দেওয়া কোনও ক্ষতিপূরণ নিতেও অস্বীকার করেছি। যে তদন্ত করা হচ্ছে, তাতে কোনও ফলাফল আসেনি। দেখা যাক কী হয়। মেয়ের ডিপার্টমেন্ট থেকে বা কলেজ থেকেও সেভাবে কেউ আমাদের সহযোগিতা করেনি। আমার মনে হয় পুরো ডিপার্টমেন্টই এই ঘটনায় জড়িত।
শুধু বাবা নন, নিহত চিকিৎসকের মাও মেয়ের হত্যার ন্যায়বিচারের দাবি রেখেছেন জোরালো ভাবে। তিনি এ-ও বলেন, বিচার পেলে তবেই তিনি রাজ্য সরকারের কাছ থেকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ গ্রহণ করবেন। ‘আমি দোষীদের কঠোরতম শাস্তির দাবি করছি। তা পূরণ হলে তবেই আমি রাজ্য সরকারের কাছ থেকে আর্থিক ক্ষতিপূরণের বিষয়টি বিবেচনা করব। তবে সবার আগে বিচার চাই।’
1 comment