
ত্রিপুরা রাজ্যে স্বচ্ছতা, মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বর্তমান সরকার। ২০১৮ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ডাই ইন হারনেসসহ মোট ১৯,৭৪২ জন প্রার্থীকে নিয়মিত পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আজ আগরতলার মুক্তধারা প্রেক্ষাগৃহে পূর্ত দপ্তরের অধীনে জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার পদে নির্বাচিত ১৮৪ জন প্রার্থীকে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা।মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন, “সরকার এখন প্রযুক্তি, স্বচ্ছতা ও যোগ্যতাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের যুগে আমাদের প্রযুক্তি-দক্ষতা বাড়াতে হবে। উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতায় অংশগ্রহণ করছেন সবাই, জাতি-জনজাতি ও গরিব জনগোষ্ঠীর জন্য বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।”তিনি উল্লেখ করেন, পিএম বিশ্বকর্মা যোজনার মাধ্যমে সমাজের ১৮টি শ্রেণির মানুষের জন্য ১৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে এবং সেই প্রকল্প যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে।ত্রিপুরার বাজেট প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, চলতি অর্থবছরে ৭ হাজার কোটি টাকা পরিকাঠামো উন্নয়নে বরাদ্দ রাখা হয়েছে এবং রাজ্যের মোট বাজেট ৩২ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে, যা ২০১৮ সালের তুলনায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি।তিনি বলেন, “চাকরির জন্য এখন আর পার্টি অফিসে যেতে হয় না, মিছিল করতে হয় না। এই সরকার মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি দিচ্ছে।” একইসঙ্গে তিনি জানান, ৬টি ন্যাশনাল হাইওয়ে ছাড়াও ৯০০ কিমি নতুন সড়ক ডিজাইন করা হয়েছে এবং প্রকৌশলীদের দায়িত্ব নিয়ে সেই কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে হবে।ত্রিপুরার সাম্প্রতিক সাফল্যের কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্য এখন দেশের তৃতীয় পূর্ণ সাক্ষর রাজ্য এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মধ্যে মাথাপিছু আয় ও জিএসডিপি-তে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী প্রনজিত সিংহ রায়, কৃষিমন্ত্রী রতন লাল নাথ, পূর্ত দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব পি কে চক্রবর্তী-সহ পূর্ত দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।