
📍 বিশালগড়, ত্রিপুরা:
ত্রিপুরার সিপাহিজলা জেলার বিশালগড় মহকুমার রঘুনাথপুরে ফের চাঞ্চল্যকর অপহরণের ঘটনা সামনে এসেছে। অভিযোগ, বাড়ি থেকে প্রকাশ্যে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় ঈমান হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে, যিনি তিন সন্তানের পিতা।প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ১০ থেকে ১৫ জন দুষ্কৃতী ভাড়া বাড়িতে হানা দিয়ে প্রকাশ্যে অপহরণ করে নিয়ে যায় ঈমানকে। এখনও পর্যন্ত তাঁর কোনো খোঁজ মেলেনি। পুলিশ অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ।অপহৃতের স্ত্রী জনবের নেছা জানিয়েছেন, ঘটনার পেছনে রয়েছে জাঙ্গালিয়া এলাকার কুখ্যাত নেশা কারবারি ভুট্টু ও তার গ্যাং। শুধু অপহরণ করেই থামেনি দুষ্কৃতীরা— ঈমানের মোবাইল বন্ধ থাকলেও জনবের নেছার ফোনে পাঠানো হয়েছে একটি ভয়ঙ্কর ভিডিও, যেখানে ঈমানকে আতঙ্কিত অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। ভিডিওতে হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে, “কেটে টুকরো করে নদীতে ফেলে দেব।”স্ত্রীর আর্তি: “আমার স্বামীকে ফেরত দিন, নয়তো বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করব”জনবের নেছা জানান, প্রশাসন যদি ঈমানকে দ্রুত উদ্ধার করতে না পারে, তাহলে তিনি তাঁর সন্তানদের নিয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হবেন। “তখন এর দায় প্রশাসনকেই নিতে হবে,”—স্পষ্ট হুঁশিয়ারি তাঁর।আজ তিনি তিন সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে উপস্থিত হন সিপাহিজলা জেলা পুলিশ সুপারের দপ্তরে। কাঁদতে কাঁদতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডঃ মানিক সাহার কাছে হাতজোড় করে আবেদন জানান, “আমার স্বামীকে বাঁচান। আমি আপনার উপর ভরসা করে এসেছি।”আইন-শৃঙ্খলার প্রশ্নে ফের প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকারএই ঘটনার পর রাজ্যজুড়ে নতুন করে উদ্বেগ ছড়িয়েছে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে। জনসাধারণের প্রশ্ন— যখন কেউ নিজের বাড়িতেই নিরাপদ নন, তখন কীভাবে এ রাজ্য ‘উন্নত ত্রিপুরা’ হয়ে উঠবে?স্থানীয়দের অভিযোগ, বিজেপি সরকারের আমলে মাদক ব্যবসা, অপহরণ, চাঁদাবাজির মতো অপরাধ ব্যাপকভাবে বেড়েছে। প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা এবং রাজনৈতিক আশ্রয়ে দুষ্কৃতীরা হয়ে উঠছে বেপরোয়া।সরকারি হস্তক্ষেপের দাবি উঠছে রাজ্যজুড়েএখন গোটা রাজ্যের নজর মুখ্যমন্ত্রীর দিকে। জনতার দাবি— মুখ্যমন্ত্রী যেন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তদন্তের দায়িত্ব নেন এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে একটি কড়া বার্তা দেন। নয়তো মানুষ ধরে নেবে, সরকার শুধু উন্নয়নের বুলি আওড়াচ্ছে, বাস্তবে নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ।